“লোভই মানুষের দুর্ভাগ্য ও দুর্দশার অন্যতম কারণ। আপনার সম্পদ যতই!
হোক আপনার চাহিদা বাড়তেই থাকবে, অথচ আমরা যদি অল্পতেই খুশি হতে পারতাম, তাহলে কিছুটা হলেও জীবন থেকে হতাশার মেঘ দূর হতো।
আমরা যেন সম্পদ বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছি।
মহান আল্লাহ বলেন,তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি এমন কিছু নয় তোমাদেরকে আমার নিকটবর্তী করে দিবে। যারা ঈমান আনে ও আমলে সালেহ করে, তারা তাদের কর্মের জন্য বহুগুণ প্রতিদান পাবে এবং তারা সুউচ্চ প্রাসাদে নিরাপদে থাকবে। (সূরা সাবা : আয়াত-৩৭)
তাকদীরে আমাদের জন্য যা লেখা আছে তার উপর সন্তুষ্ট থাকাই আমাদের কর্তব্য। এমনাট করতে পারলেই আমাদের দায়িত্ব পূর্ণ হবে এবং আমরা সফল হব।
একটু লক্ষ্য করুন, ইসলামের প্রথম যুগে হেদায়াতের পতাকা যারা বহন। করেছিলেন, তাদের অনেকেই ছিলেন নিঃস্ব দরিদ্র ও অসহায়। অনেকেই ছিলেন গোলাম হযরত বেলাল (রা)-এর মত মানুষ যারা ইসলামের আহ্বানে। সাড়া দিযে় রাসূলের (সা) সাথে থেকেছেন। পক্ষান্তরে যারা তাদের বিরোধিতা করেছিল, হেদায়াতের আলো নিভিয়ে দিতে চেয়েছিল তাদের প্রায় সবাই-ই ছিল তখনকার সময়ের সম্পদশালী ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ। তাদের ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন,
যখন তাদের কাছে আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করা হয় তখন। কাফেররা মু’মিনদের বলে (ধনী কাফের ও দরিদ্র ঈমানদার), এ দু’ দলের মধে্য কোন দল মর্তবায় শেষ্টও মজলিস হিসেবে উত্তম।
(সূরা মারইয়াম : আয়াত-৭৩)
হতাশা ও প্রকৃত ঈমান একএে হয় না।
মহান আল্লাহ তায়ালা জীবন বিধান হিসেবে ইসলামকে মনোনীত করেছেন।
আর প্রকৃতপহ্মে ঈমানের মধ্যই সুখ শান্তি ও নিরাপত্তার রহস্য নিহিত। পক্ষান্তরে।
অবিশ্বাস ও কুফুরি দুঃখ দুর্দশা ও বিভ্রান্তিতর কারণ। আমি বহু মেধাবী লোকদের,
দেখেছি এবং বহু বিখ্যাত ব্যক্তিদের দেখেছি,
যাদের অন্তর ছিল রিসালাতের নূর।
Leave a Reply