জ্ঞানের জগতে- তোমাদের ঐ বিজ্ঞানের জগতেও খুব বড় বড় সূত্রগুলো কিন্তু স্বতঃসিদ্ধ- অ্যাকশিওম্যাটিক । যুক্তি দিয়ে, কিংবা প্রমাণ দিয়ে সিদ্ধ নয়। আমাদের সমাজের এই বিদ্বান লোকগুলো যখন অঙ্ক কষেন, কিংবা জ্যামিতির কোনো দুরূহ সমস্যা সমাধান করেন তখন তারা স্বতঃসিদ্ধ কিছু সূত্রকে মেনে নিয়েই কাজ করেন । তোমাদের উচ্চতর গণিতের বেশিরভাগই সূত্রই এখনো স্বতঃসিদ্ধ- আল্লাহর বিশ্বাসও তেমনি একটা সত্য যা স্বতঃসিদ্ধ । যুক্তিতর্ক দিয়ে বেশিদূর এগোনো যায় না । কার্যকরণ সূত্র অনুসরণ করে এক জায়গায় গিয়ে থামতেই হয়। আর তার নাম সিঙ্গুলারিটি বা অনন্যতা।
এজন্য কুরআনের শুরুতেই বলা হয়েছে- এই সেই গ্রন্থ যা সন্দেহের ঊর্ধ্বে এবং এ গ্রন্থ বিশ্বাসীদের জন্য । তারপর স্বতঃসিদ্ধ সূত্রটি বলা হয়েছে, যা মানলে কুরআনরূপী গোটা অঙ্কটা তুমি কষতে পারবে । না মানলে এ অঙ্ক তুমি কষতে পারবে না- এ রহস্যের দুয়ার তোমার সামনে খুলবে না। যে কোনো অঙ্কই তো একটা রহস্য, কুরআনও একটা রহস্য ।
যা হোক, যে সূত্রটা না জানলে তোমার কুরআনের অঙ্ক কষা হবে না তা হচ্ছে এ গ্রন্থ বিশ্বাসীদের জন্য একটা পথনির্দেশ তাদের জন্য যারা অদৃশ্যে বিশ্বাস করে, সালাত কায়েম করে, আল্লাহ প্রদত্ত রিজিক থেকে নিজের জন্য এবং অপরের জন্য ব্যয় করে, তোমার প্রতি (অর্থাৎ রাসুলের (সা.) প্রতি) এবং তোমার পূর্ববর্তী পয়গম্বরদের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে বিশ্বাস করে এবং পরকালে বিশ্বাস করে । এই হচ্ছে সেই স্বতঃসিদ্ধ সূত্রটি যা বিনা তর্কে না মানলে কুরআন সম্মত কোনো রহস্যেরই সমাধান মিলবে না ।
Leave a Reply