1. admin@hvoice24.com : admin :
শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নবীগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্থ ১২ পরিবারের পাশে আব্দুল হক তালুকদার ফাউন্ডেশন-হবিগঞ্জ ভয়েস২৪ মাধবপুরে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতা আটক- হবিগঞ্জ ভয়েস২৪ সিলেটে নিহতদের পরিবার পেলো দুই লাখ,আহতরা ৫০ হাজার টাকা বাংলাদেশ পুলিশ থিয়েটারের নাটক ‘অচলায়তনের অপ্সরী’ মঞ্চায়ন হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণা,সভাপতি রিংগন,সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর ভবন গুঁড়িয়ে দিলো এসিল্যান্ড, সুকান্ত’র স্বপ্ন নিমিষেই শেষ ডাঃ মহিউদ্দিন হাই স্কুলে’র পরীক্ষা স্থগিত-হবিগঞ্জ ভয়েস২৪ স্কলার্সহোম মেজরটিলা কলেজে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত গাজীপুরে দুই কারখানাকে দেড়লাখ টাকা জরিমানা হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সাথে বাপা নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ

ক্ষমার রাত-পবিত্র শবে বরাত আজ!

হবিগঞ্জ ভয়েস ২৪ ডেস্ক :
  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৭ মার্চ, ২০২৩
  • ১৯১ বার পঠিত

পবিত্র শবে বরাত, আজ মঙ্গলবার রাতে পালিত হবে।

মহান আল্লাহ শেষ নবীর উম্মত হিসেবে আমাদের এমন কিছু বরকতময় মাস, দিন ও রাত দান করেছেন- যেগুলোর গুরুত্ব, মাহাত্ম্য ও ফজিলত অপরিসীম। সেগুলোর মধ্যে পবিত্র শবে বরাত অন্যতম। হিজরি শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি শবে বরাত হিসেবে পরিচিত, যার আরবি ‘লাইলাতুল বারাআত’। ফারসি ‘শব’ আর আরবি ‘লাইলাতুন’ অর্থ রাত। ‘বারাআত’ অর্থ নাজাত বা নিষ্কৃতি, মুক্তি, পরিত্রাণ প্রভৃতি। সুতরাং শবে বরাতের অর্থ দাঁড়ায় মুক্তি, নিষ্কৃতি বা পরিত্রাণের রজনী। যেহেতু হাদিস শরিফে বারবার বলা হয়েছে, এই রাতে মহান আল্লাহ মুসলমানদের গোনাহ থেকে পরিত্রাণ দেন, তাই এ রাতের নামকরণ করা হয়েছে ‘লাইলাতুল বারাআত’ বা ‘শবে বরাত’।

হাদিসের পরিভাষায় এই রাতের নাম, ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ বা মধ্য শাবানের রাত। এ রাত সম্পর্কে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘এই রাতে সামনের বছর যত বনি আদম জন্মগ্রহণ ও মৃত্যুবরণ করবে তাদের সংখ্যা লিপিবদ্ধ করা হয়। এই রাতেই মানুষের সারা বছরের আমল তুলে নেওয়া হয় এবং তাদের রিজিক বণ্টন করা হয়।’ -বায়হাকি

ফজিলতময় এই রাতে ইবাদত-বন্দেগির গুরুত্ব বর্ণনা করে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যখন শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত আগমন করবে, তখন তোমরা রাতে জাগরণ কর এবং দিনে রোজাপালন কর। কেননা আল্লাহ প্রত্যেক রাতের শেষ তৃতীয়াংশে পৃথিবীর প্রথম আসমানে নেমে আসেন। কিন্তু শাবানের এ রাতে সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে মহান আল্লাহ প্রথম আসমানে আগমন করে বান্দাদের সম্বোধন করে বলতে থাকেন, কে আছো ক্ষমা প্রার্থনাকারী? আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। কে আছো রিজিক অনুসন্ধানকারী? আমি তাকে রিজিক প্রদান করব। কে আছো বিপদগ্রস্ত? আমি তাকে বিপদ মুক্ত করব। এমনিভাবে সূর্যোদয় পর্যন্ত আল্লাহ বান্দাদের আহ্বান করতে থাকেন।’ -সুনানে ইবনে মাজাহ

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মহান আল্লাহ শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে সৃষ্টিজগতের প্রতি দৃষ্টি নিবন্ধ করেন এবং বিদ্বেষ পোষণকারী ও খুনি ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করে দেন।’ -মুসনাদে আহমদ।

মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে পবিত্র এই রাতে বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করা, তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া, তওবা-ইস্তিগফার করা, জিকির-আজকার ও পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা। মৃত মুসলিম নর-নারী ও আত্মীয়-স্বজনের রূহের মাগফিরাতের জন্য দোয়া করা।

সেই সঙ্গে আল্লাহতায়ালার ক্ষমা ও মাগফিরাত পেতে যাবতীয় হিংসা-বিদ্বেষ এড়িয়ে চলা। হাদিসে এসব বিষয়ের ভয়ংকর পরিণতির কথা বর্ণিত হয়েছে। হিংসা-বিদ্বেষ মানবহৃদয়কে কলুষিত করে, ভারাক্রান্ত করে, আল্লাহর জিকির থেকে দূরে সরিয়ে দেয় এবং সর্বোপরি অন্যান্য নেকআমল নষ্ট করে দেয়। হাদিসের আলোকে মুসলমান মুসলমানে হিংসা, বিদ্বেষ ও শত্রুতার দুটি ভয়ংকর পরিণতির কথা জানতে পারি।

এক. আল্লাহর বিশেষ ক্ষমা থেকে বঞ্চিত: হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রতি সপ্তাহে দুইবার- সোমবার ও বৃহস্পতিবার বান্দাদের কর্ম (আল্লাহর দরবারে) পেশ করা হয়। তখন সব মুমিন বান্দাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়, শুধু ওই ব্যক্তি ছাড়া, যার ও তার অন্য ভাইয়ের মধ্যে বিদ্বেষ ও শত্রুতা আছে। এদের বিষয়ে বলা হয়েছে, এদের বিষয় স্থগিত রাখো, যতক্ষণ না এরা ফিরে আসে।’ -সহিহ মুসলিম : ২৫৬৫

দুই. সব নেক কর্ম ও ধর্ম ধ্বংস করে দেয়: হজরত জুবাইর ইবনুল আওয়াম (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পূর্ববর্তী ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতিগুলোর ব্যাধি তোমাদের মধ্যেও সঞ্চারিত হয়েছে- হিংসা ও বিদ্বেষ। এই বিদ্বেষ মুণ্ডন করে দেয়। আমি বলি না যে তা চুল মুণ্ডন করে, বরং তা ধর্মকে মুণ্ডন ও ধ্বংস করে দেয়। আমার প্রাণ যার হাতে তার শপথ করে বলছি, বিশ্বাসী না হলে তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আর পরস্পর একে অন্যকে ভালো না বাসলে তোমরা বিশ্বাসী হতে পারবে না। এই ভালোবাসা প্রতিষ্ঠার মাধ্যম আমি শিখিয়ে দিচ্ছি, সর্বত্র ও সর্বদা পরস্পরে সালাম প্রদানের প্রথা প্রচলিত রাখবে।’ -জামে তিরমিজি : ২৫১০

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত অন্য হাদিসে বলা হয়েছে, ‘খবরদার! হিংসা থেকে আত্মরক্ষা করবে, কারণ হিংসা এমনভাবে নেক কর্ম ধ্বংস করে ফেলে, যেভাবে আগুন খড়ি পুড়িয়ে ফেলে।’ -সুনানে আবু দাউদ : ৪৯০৩

আল্লাহতায়ালা সবাইকে পাপমুক্ত জীবন দান করুন।পরিবার ও সমাজকে হিংসুকের হিংসা থেকে মুক্তি দিন। সবাইকে বরকতময় দিন দান করুন। বিশ্ব মুসলিমদের মাঝে শান্তি দিন, সবাইকে এক ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে দিন। আমিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা