প্রবাসে যে কয়েকজন ব্যক্তি তাদের সততা, মেধা, কর্মদক্ষতা, সাহসিকতা ও দেশপ্রেমের মাধ্যমে সমহিমায় জনগণের হ্নদয়ে উজ্জ্বল স্থান করে নিয়েছেন তাদের মধ্যে অনন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সৌদিআরব বিএনপির আহ্বায়ক আহমদ আলী মুকিব।
ইউরোপ আমেরিকা সহ বহির্বিশ্ব নেতাকর্মীদের সঙ্গেও রয়েছে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। দেশে বিদেশে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। আপাদমস্তক রাজনীতিবিদ আহমেদ আলী মুকিব মধ্যে প্রাচ্যের পাশাপাশি জয় করে ফেলেছেন বহির্বিশ্ব নেতাকর্মীদের মনও। তিনি তপ্ত মরুর বুকে চাষাবাদ করছেন সবুজ ধানের শীষ উড়াচ্ছেন জাতীয়তাবাদী আদর্শের পতাকা। সাংগঠনিক কাজে চষে বেড়াচ্ছেন মধ্যপ্রাচ্যে থেকে ইউরোপে। পাড়ি দিচ্ছেন হাজার মাইল। যখনই দেশে দলের কোন নেতাকর্মী হত্যা-গুমের শিকার হন সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিবাদের ঢেউ ছড়িয়ে দেন মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপে। সামনে থেকে দেন নেতৃত্ব। ইতিমধ্যে সৌদি আরব, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে গড়ে তুলেছেন বিএনপির শক্ত ভিত। দেশ বিদেশে জনমত গড়তেও রাখছেন জোরালো ভূমিকা।
কিংবদন্তি রাজনীতিবিদ আহমেদ আলী মুকিব ১৯৬৪ সালের ২৫ মার্চ হবিগঞ্জ জেলার আজমিরিগঞ্জ উপজেলায় শিবপাশা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে পিতা হাফেজ আব্দুহ শহীদ ও মাতা আমেনা বেগমের কোল আলো করে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।জিয়া পরিবারের বিশ্বস্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মধ্যেপ্রাচ্য বিএনপির সাংগঠনিক সমন্বয়ক ও সৌদিআরব বিএনপির আহ্বায়ক আহমেদ আলী মুকিব চার ভাই দুই বোনের মধ্যে জ্যেষ্ঠ। ১৯৯৪ সালের আগস্ট বানিয়াচং ঐতিহ্যবাহী পরিবারের মেয়ে আকিদা আক্তারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। বিবাহিত জীবনে তিনি এক ছেলে ও এক কন্যার গর্বিত পিতা। বড় ছেলে তারিক সৌদি আরবে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেছে।কন্যা রিম সৌদি আরবের একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে ‘এ’ লেভেলে পড়াশোনা করছেন।
সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে মধ্যেপ্রাচ্য ঝড় তোলা বিএনপির এই তরুন নেতা তখন কে জানত যে, বাংলার প্রত্যন্ত জনপদ হবিগঞ্জের একটি গ্রামে জন্মগ্রহণকারী এ শিশুটি একদিন বড় হয়ে ভাটি বাংলার মানুষের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে নিজ জীবনকে নিবেদন করবেন।সংগ্রামী জীবনে সততা, মেধা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করে জনকল্যাণমূলক রাজনীতির অভীষ্ট লক্ষ্যে তিনি এগিয়ে চলেছেন। ’১/১১-এর পর রাজনীতির ক্ষেত্রে দল ও মতাদর্শ পরিবর্তনের হিড়িক পড়ে যায়। রাজনীতিকরা সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বেচাকেনার সামগ্রীতে পরিণত হয়। প্রলোভন ও হুমকির মুখে বহু আদর্শবাদী আদর্শচ্যুত হলেও তিনি ছিলেন নির্ভীক, ব্যতিক্রম এবং অনন্য,মাথা নত করেননি।কিন্তু কোনো ধরনের প্রলোভন বা হুমকির কাছে নতি স্বীকার করেননি।শহীদ জিয়ার আদর্শ ও চেতনার একনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে শুধু দেশের মানুষের কাছে নয়, সমগ্র বিশ্বেই বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি পরিচিত।
আহমদ আলী মুকিবের রয়েছে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন, তরুণ বয়সে আশির দশকে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হন। নব্বই দশকের গোড়ার দিকে তিনি সৌদি আরব পাড়ি দেন। ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি জড়িয়ে পড়েন সৌদি আরব শাখা বিএনপির রাজনীতিতে। দেশ প্রেমিক এই রাজনীতিবিদ ‘৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যায় দুর্গত মানুষের জন্য তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের ত্রাণ তহবিল সংগ্রহে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। ২৪ ঘণ্টাই ডুবে থাকেন দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ফলত, ৯৮ সালে সৌদি আরব শাখা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর থেকেই নিরলসভাবে কাজ করে যান দলের জন্য এবং সাংগঠনিক কাজে চষে বেড়াচ্ছেন মধ্যপ্রাচ্যে থেকে ইউরোপে। এছাড়া ওয়ান-ইলেভেনের পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মাঠে থেকে তাকে প্রবাসে আন্দোলন গড়ে তোলার দায়িত্ব দেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি ২০০৯ সালে পদোন্নতি পেয়ে সৌদি আরব শাখা বিএনপির সভাপতি হন। সাম্প্রতিক আহমদ আলী মুকিবকে দীর্ঘদিনের ত্যাগের মূল্যায়ণ হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে মনোনীত করেন।এর আগে মধ্যপ্রাচ্য বিএনপির সাংগঠনিক দায়িত্ব দেয়া হয়।অল্প দিনেই মধ্যপ্রাচ্য বিএনপির দৃশ্যপট পাল্টে দেন তার নেতৃত্বেই সুসংগঠিত হয় মধ্যপ্রাচ্য বিএনপি লেবানন কাতার সংযুক্ত আরব আমিরাত বাহরাইন কুয়েত সৌদিআরব পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল শাখার অনুমোদন হয়।শীঘ্রই জর্ডান মিশর আলজেরিয়া ওমান তুরস্ক সহ আরো কয়েকটি দেশের কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।
বিগত ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি একতরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে প্রবাসে জনমত গঠনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। গুম-খুন, মামলা-হামলাসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্যাতনের প্রতিবাদে সোচ্চার আন্দোলন গড়ে তুলে তুলেন ইউরোপ-মধ্যপ্রাচ্যে। বর্তমান ভোটারবিহীন সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরেন।বিএনপিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিয়ে আইডিসি সিডিআইর সদস্য পদ লাভে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সঙ্গে বিএনপির কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরিতে নেপথ্যে ভূমিকা রাখেন। মধ্যপ্রাচ্য বিএনপির নয়নের মনি, জাতীয়তাবাদী দলের প্রাণ আহমদ আলী মুকিব একদিকে যেমন সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যে বিএনপির শক্ত সাংগঠনিক ঘাটি গড়ে তুলেছেন, শহীদ জিয়ার আদর্শ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ছড়িয়ে দিয়েছেন, তেমনি তিনি ইউরোপ সহ সর্বত্র বিএনপির বৈদেশিক কূটনীতি ও রাজনীতিতেও সাফল্য ছড়িয়ে দিতে নিরলস প্রয়াসী হচ্ছেন। এর আগে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন। সফর কালে ইউরোপের দেশে দেশে আহমদ আলী মুকিব বিএনপি সহ সর্বস্তরের জনগণের ভালোবাসায় যেভাবে সিক্ত হয়েছেন, তাতেই তার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কূটনৈতিক সাফল্যের উজ্জ্বল প্রমাণ বহন করে। ইউরোপ সফরের সময় তিনি যেমন বিএনপিকে আরো সাংগঠণিকভাবে উজ্জীবিত করেছেন, একই ভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিশন ও পার্লামেন্টের এমপি, সদস্য, বিভিন্ন সেক্রেটারি ও নেতৃত্বের সাথে সাক্ষাত করেছেন। সাক্ষাতের সময় তিনি বিএনপির বৈদেশিক নীতি ও তারেক রহমানের আধুনিক রাষ্ট্রনীতি, পররাষ্ট্রনীতি ইত্যাদি দর্শন তুলে ধরেছেন।
আহমদ আলী মুকিবের অসামান্য রাজনৈতিক ক্যারিশম্যাটিক সাংগঠনিক দক্ষতা ও কর্মকান্ড দেখে বহির্বিশ্ব বিএনপির সাংগঠনিক কর্মকান্ডকে আরো গতিশীল করতে বিএনপির হাজারো নেতা কর্মী মধ্যপ্রাচ্য বিএনপির নয়নের মনি আহমদ আলী মুকিবের সাফল্য কামনা করেন।
Leave a Reply