নবীগঞ্জে বিয়ের গেট স্থাপনকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী।
মঙ্গলবার (৬জুন) দুপুরে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বুরহানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর ঘটনার দিন জেলার পুলিশ সুপার জনাব এস এম মুরাদ আলি সরজমিনে উক্ত সংঘর্ষের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ সময় পুলিশ সুপারএলাকার গণ্যমান্য লোকজনদের সাথে কথা বলেন। উক্ত ঘটনার পূনারাভিত্তি না ঘটানোর জন্য এবং সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহবান জানান। এই ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দেন তিনি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন,নবীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ জনাব মোহাম্মদ ডালিম আহমেদ ও এলাকার গণ্যমান্য ও সাধারণ লোকজন।
জানা যায়, আগামী শুক্রবার স্থানীয় গেদা মিয়া চৌধুরীর ছেলে রাহিম চৌধুরীর বিয়ের অনুষ্ঠান। এই আয়োজনকে কেন্দ্র করে পরিবারটি সরকারি পাকা সড়কের উপর গেইট স্থাপন করে। প্রতিবেশী জাকির হোসেনের বাড়ির সামনে গেইট স্থাপন করা হয়েছে–এমন অভিযোগে ৬জুন (মঙ্গলবার) সকালে একদল যুবক ওই গেইট ভাঙচুর করেন। এ সময় তারা গেইটের সরঞ্জাম ভেঙে জাকির হোসেনের বাড়িতে নিয়ে যান।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন; খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার একটি দল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
“সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের লোকজন অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলিও ছোড়েন বলে জানতে পেরেছি। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধসহ ২০ জনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”
এছাড়া অন্য আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ফের সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
Leave a Reply