বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাড়তে শুরু করেছে জেলার নদ-নদীর পানি। ইতিমধ্যে জেলার খোয়াই, করাঙ্গী ও কুশিয়ারা নদীতে পানি প্রবেশ করেছে। বৃষ্টি আর উজানের ঢল অব্যাহত থাকলে জেলার ছোট-বড় অন্যান্য নদী গুলোতে পানি বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
এদিকে, ভারী বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলে সিলেট, সুনামগঞ্জ নেত্রকোনায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সুনামগঞ্জে যাদুকাটা নদীর পানি বিপদ সীমার ১ সেন্টিমিটারের নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা যায়, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ২শত মিলি মিটার বৃষ্টি পাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে আরও ২ থেকে ৩ দিন ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টি পাত হলে নদীতে পানির চাপ পরে। কয়েকদিনের বৃষ্টির কারনে পাহাড়ি ঢলের পানি নদী গুলো দিয়ে প্রবল বেগে নিন্মাঞ্চলে ও হাওরে প্রবেশ করছে। যে কারনে হবিগঞ্জ কয়েকটি নদীতে পানি প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে জেলার খোয়াই, করাঙ্গী ও কুশিয়ারা নদীতে পানি প্রবেশ করতে দেখা যায়। টানা বৃষ্টি পাত দেখা দিলে নদীর পানি আরও বাড়তে পারে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ জেলার উপজেলার যাদুকাটা, পাঠলাই, রক্তি ও বৌলাই নদীতে ঢলের পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে।
যাদুকাটা নদীর পানি বিপদ সীমার ১ সেন্টিমিটারের নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও উপজেলার নদীরগুলোর একাধিক স্থান দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি উপচে বিভিন্ন হাওরে পানি প্রবেশ করেছে। হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ বলেন, ‘বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নদীতে পানি বাড়ছে। ইতিমধ্যে জেলার খোয়াই, করাঙ্গী ও কুশিয়ারা নদীতে পানি প্রবেশ করেছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পানি আরও বাড়তে পারে’।
Leave a Reply