1. admin@hvoice24.com : admin :
সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৪০ পূর্বাহ্ন

বানিয়াচংয়ের বাক প্রতিবন্ধী কিশোরী মাহিমার বার্লিন জয়-হবিগঞ্জ ভয়েস২৪

বানিয়াচং প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০২৩
  • ১৫৬ বার পঠিত

বানিয়াচং উপজেলার বাক প্রতিবন্ধী কিশোরী মাহিমা আক্তার দলগতভাবে সাতার প্রতিযোগিতায় গোল্ড মেডেল অর্জন করে বাংলাদেশের জন্য গৌরব বয়ে এনেছেন। চলতি বছরের ১২ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত জার্মানীর রাজধানী বার্লিনে অনুষ্টিত ‘সামার অলিম্পিক গেমস-২০২৩” এ বিশ্বের ১৭০টি দেশের প্রতিযোগীদের অংশগ্রহনে অনুষ্টেয় বিভিন্ন ইভেন্টে বাংলাদেশ থেকে ও প্রতিযোগীরা অংশগ্রহন করেছেন।

বাংলাদেশ থেকে সামার অলিম্পিকে সাতার প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনকারী দলে ৪জন ছেলে ও ৪ জন মেয়ে অংশগ্রহন করেছেন। দলগত ৪.২৫ ফ্রি ষ্টাইল রিলে’তে মেয়েদের দল ৪টি গোল্ড মেডেল ও ২টি ব্রোঞ্জ পদক বাংলাদেশের পক্ষে অর্জন করেছেন। দলগত চ্যাম্পিয়নে মাহিমা আক্তার একটি গোল্ড মেডেল ও ১শ ইউরো পুরস্কার অর্জন করেছেন।

মৌলভীবাজার জেলার বুলিং রুজেস বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিষ্টিক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত মাহিমা আক্তার (১৫) বানিয়াচং উপজেলার ৩ নম্বর দক্ষিন-পূর্ব ইউনিয়নের জাতুকর্ণপাড়া গ্রামের প্রবাসী শাহজাহান মিয়া ও গৃহিনী সেলিনা বেগম দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে প্রথম সন্তান। ২০২২ সালে বিশেষ অলিম্পিকের জন্য কক্সবাজারে অনুষ্টিত সাতার প্রতিযোগিতায় মাহিমা আক্তার বাছাই প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হয়েছিলো। মাহিমা আক্তার বানিয়াচং জাতুকর্ণপাড়া সঃপ্রাঃ বিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালে পঞ্চম শ্রেণীর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলো। তার বাবার বাড়ী জাতুকর্ণপাড়া গ্রামে হলেও মাহিমা বর্তমানে মৌলভীবাজাররে তার নানার বাড়ীতে থেকে বিশেষ শিশুদের জন্য প্রতিষ্টিত ওই বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছে।

এ ব্যাপারে মাহিমার মা সেলিনা বেগম বলেন, আমার মেয়েকে নিয়ে আমি কখনই মন খারাপ করি নাই। সে যাই হোক সে আমার মেয়ে। বাংলাদেশের জন্য গৌরব বয়ে নিয়ে আসায় আমি আমার মেয়েকে নিয়ে গর্ববোধ করছি। আপনারা সকলে আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন।

এ ব্যাপারে জাতুকর্ণপাড়া সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, মাহিমা আমাদের বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। গোটা দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনায় আমরা টিচাররা মাহিমার জন্য গর্ব অনুভব করছি।

এ ব্যাপারে স্পেশাল অলিম্পিক বাংলাদেশ হেড কোচ (সুইমিং) গোলাম মোস্তফা বলেন, জার্মানীর বার্লিনে অনুষ্টিত সামার অলিম্পিক গেমসে বাংলাদেশের এই বিশেষ সাতার দলের পক্ষে মেয়েরা দলগতভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কোচ হিসেবে আমি অবশ্যই প্রাউড ফিল করি। এই অর্জনে বাংলাদেশের মুখ বিশ্ব দরবারে উজ্জ্বল হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা