বানিয়াচং গ্যানিংগঞ্জ বাজার এল আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সড়কের পাশে গাড়ি দ্বার করে রেখে তীব্র যানজট সৃষ্টি করছে একটি চক্র। শুধু তাই নয় পোল্ট্রি মোরগের বিষ্টা সড়কে ফেলে পরিবেশ দূষণও করা হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ করলে আমলে নিচ্ছে না পোল্ট্রি খামারী ফজল মিয়া (৩০)। সে উপজেলা সদরের সাগর দিঘির দক্ষিণ পাড়ের মহব্বত মিয়ার ছেলে।
এল আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সড়কের পাশে গাড়ি দ্বার
এমন অভিযোগ পেয়ে বিকাল ৫টায় সরজমিনে তদন্তে এসে সত্যতা পেয়েছেন সহকারি তহশিলদার কামরুল হাসান রুবেল ।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন যাবত সাগর দিঘির পশ্চিম পাড়ে ২টি ঘর ভাড়া নিয়ে পোল্ট্রি খামার দিয়ে মোরগ পালন করছেন ফজল মিয়া। খামারের মোরগের বিষ্টা যত্রতত্র ফেলে রেখে পরিবেশ দূষণ করছেন তিনি। সেই বিষ্টা সাগর দিঘিতেও অনেক সময় ফেলে দেওয়া হচ্ছে। অথচ সাগর দিঘিতে প্রতিদিন চার পাড়ের বাসিন্দারা গোছল করে থাকেন।
প্রতিবাদ করলে তিনি অনেকটা গায়ের জোরেই সড়কসহ যত্রতত্র বিষ্টা ফেলে পরিবেশ দূষণ করে যাচ্ছেন। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে ৫/৬নং বাজার অফিসের সহকারি তহশিলদার কামরুল হাসান রুবেলকে সরজমিনে তদন্ত করতে পাঠান সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইফফাত আরা জামান ঊর্মি। সে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুল্লাহ মিয়া জানান, পোল্ট্রি ব্যবসায়ী ফজল মিয়া যত্রতত্রভাবে মোরগের বিষ্টা ফেলে পরিবেশ দূষণ করছে। আমরা এর দূর্গন্ধে ব্যবসা করতে পারছি না।
অপর ব্যবসায়ী মোঃ বশির মিয়া জানান, আমার দোকানের সামনে মেইন সড়কে মোরগ বহনের মিনি ট্রাক আটক রাখছে দিনের পর দিন। সেই ট্রাক এই সড়কের মধ্যেই ধৌত করে বিষ্টা ফেলছে সড়কে। এর মধ্যে দিয়ে স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ সাধারণ জনগণ যাতায়াত করছেন।
এ ব্যাপারে সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইফফাত আরা জামান ঊর্মি জানান, এ অভিযোগের সত্যতা মিলেছে সেটা আমার প্রতিনিধি জানিয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে যদি মোরগের বিষ্টা না সরায় এবং দিঘির পানিতে বিষ্টা ফালানোসহ পরিবেশ দূষণের জন্য জেল ও জরিমানা করা হবে।
Leave a Reply