সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ডস্হ সাবেক আনোয়ারা জুট মিলটি নামমাত্র মূল্যে সম্প্রতি কিনে নেন রড প্রস্তুতকারী কেএসআরএস। এলাকার কয়েক হাজার মানুষ জীবিকা নির্বাহ করতো এই জুট মিলে কাজ করে,মিলটি বিক্রির পর এলাকা বাসী যেমন চাকুরী হারিয়ে জীবিকার আয় বন্ধ হয়ে গেছে,কেএস আর এম
ক্রয় করার পর নতুন করে জনদূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
তারা ছড়া বাধ দিয়ে রাস্তা তৈরী করায় পাহাড়ী ঢলের পানি নিষ্কাশন হতে না পেরে এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে স্হানীয় বাসিন্দাদের ঘরে পানি ঢোকে বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়ছে।
কেএসআরএম মিলটি কিনে নেয়ার পর প্রথমেরই স্হানীয় কিছু লোকদের কে দারোয়ান ও বিভিন্ন পদে কাজ দেয়,এরপর তাদের কে দিয়ে সর্বপ্রথম পাহাড়ে যাওয়ার সরকারী রাজা আম্বিয়া রাস্তাটি দখলে নেয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় দখলে গেল রেলওয়ে ও মহাসড়কের সরকারী জায়গা,তারপর গতবছর মহাসড়কের পাশে সেবা পেট্রোল পাম্পে পাশে জনৈক হাজী ওসমান গনি থেকে কিছু জায়গা ক্রয় করে কেএসআরএম শুরু করে রাজা আম্বিয়া পাহাড়ী ছড়া দখলে পায়চারা।
গতবছর ছড়াতে মাটি ফেলে ভরাট করে ফেললে তখন এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে প্রতিবাদ করলে কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ স্হানীয় চেয়ারম্যান কে জানায় চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্লাহ ঘটনাস্হলে গেলে তারা সাময়িকভাবে ভরাট করেছে কাজ শেষে কেটে ছড়া করে দিবে বললে স্থানীয়রা বিস্বাস করে নেয়, এরই মধ্যে তারা প্রায় ২৫ ফুট ছড়াটি মাত্র একটি নাসি ( পাইপ) বসিয়ে মজবুদ করে রাস্তা তৈরী করে নেয় তাদের স্ক্যাপ লোহার ট্রাক চলাচলের জন্য।এতে কেউ এতোদিন নজর না দিলেও গতকাল শনিবার সকালে কয়েক ঘন্টা বৃষ্টিতে পাহাড়ী ঢলের পানিগুলো নিষ্কাশন হতে না পেরে এলাকায় প্রায় শতাধিক বসবাসরত লোকদের বাড়ীতে পানি ঢোকে পড়ে।চলাচল, রান্নাবান্না মারাত্বক সমস্যা দেখা দেয়, এতে স্হানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়ে, তারা দলবদ্ধভাবে একত্রিত হয়ে কোদাল খন্তা নিয়ে ছড়ার উপর মাটি কেটে দিলে জলবদ্ধ হওয়া পানিগুলো নিষ্কাশন হলে ভূক্তভোগী স্হানীয়রা জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই পান। এসময় কেএসআরএম এর নিরাপত্তা রক্ষীরা বাধা দিতে চাইলেও স্হানীয়দের ক্ষোভ দেখে পিছু সরে যান।
স্হানীয়দের অভিযোগ,রাজা আম্বিয়া ঢালা ছড়াটি দিয়ে পাহাড়ের পানি ছাড়াও কেএসআরএম , তাদের গেইট এলাকার কোডেক, রাইজিং পাওয়ার,মিঠুদের বাড়ী,,আশেপাশের বিশটিরও অধিক বশতবাড়ীর, বিদ্যুৎ পাওয়ার হাউজের,মোগবুলার রহমান জুট মিলের,মাষ্টার কলোনীর,রহমান কসাই কলোনীর,বাহার কলোনীর,ইসমাইল মিস্ত্রী বাড়ীর,প্রফেসার কামালদের কলোনীর,মুছা কলোনীর,আব্দুল মজিদের বাড়ির বাড়ীর,সুবেদার বাড়ীর পানি নিষ্কাশন হয়ে থাকে,এসব পানি এই ছড়াতে এসে পড়ে পশ্চিমে ভাটিতে সরে পরে।
এখানে পূর্বেও মিল কারখানা ছিল কোন সময় জলবদ্ধতা ছিলনা, কেএসআরএম আনোয়ার জুট মিলটি কেনার পরই একের পর এক সমস্যা দেখা দেয়।সাবেক আনোয়ারা মিলের গেইট এলাকার বর্ষার পানিগুলো বিদ্যুৎ অফিসের সামনে মহাসড়ক ঘেষে নিচু জমি দিয়ে আম্বিয়া ঢালা ছড়াতে এসে পড়তো, কেএসআরএম কেনার পর তাদের জমির পাশাপাশি মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপদের জায়গাগুলো ও বিশাল উঁচু করে ভরাট করে নেয় স্ক্যাপ রাখার জন্য, ফিরে দক্ষিন পাশের পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গেলে এই করার বসবাসকারীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছে। কিছুদিন পূর্বেও রেলের জায়গা কৃষি কাজের জন্য লিজ নিয়ে সেখানে তাদের স্ক্যাপ গাড়ী চলাচলের জন্য রাস্তা নির্মান করে,রাস্তাটি ভেঙ্গে পূর্বের মত জমি করে দেয়ার জন্য রেল কর্তৃপক্ষ ১৫ দিনের সময় দিলেও এখনো রাস্তাটি ভাঙ্গা হয়নি।
স্হানীয় আবুল খায়ের মাষ্টার সহ অসংখ্য লোক অভিযোগ করে বলেন,যুগ যুগ ধরে আমরা এখানে বসবাস করে আসছি,কখনো কোন সমস্যা হয়নি,কেএসআরএম এই জায়গা কেনার পর আমাদের কে নানান সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে,তারা চায় আমরা তাদের কাছে জায়গাগুলো বিক্রি করে চলে যাই,তারা লোহা রাখতে আরো জায়গার দরকার।যার কারনে তারা ইচ্ছে করে সমস্যা সৃষ্টি করছে।ভারী ভারী লোহার ভারে মাটি ঢেভে যাচ্ছে,বাড়ীঘর মারাত্বক হুমকিতে আছে। আবাসিক এলাকাতে ভারী লোহার ডিপু পরিবেশ দূষিত করছে,ঘরবাড়ী ধ্বংসের পথে।
প্রশাসন হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসীর পক্ষ আবুল খাখের মাষ্টার,বাহার মিয়া,আবু তাহের,আব্দুল মজিদ, সহ আরো অনেকেই। ছড়া টিতে ব্রীজ দিয়ে তাদের ট্রাক চলাচল করতে বাধা নেই,যদি আবারো সামান্য নাসি ( পাইপ)দিয়ে খাল মাটি ভরাট করে তাহলে এলাকাবাসী আন্দোলন ও আইনগত ব্য্যবস্হা নিতে বাধ্য হবেন বলে হুশিয়ার করে দেন।
এব্যাপারে স্হানী চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্লাহ প্রতিনিধি কে বলেন, আমাকে এরা কার কয়েকজন জানালে আমি কেএসআরএম কে বলে বাধ কেটে দেওয়ার ব্যবস্হা করেছি,এখন আর পানি নেই।
ছড়া বাধ দেয়া আইনগত বৈধতা আছেকি জানতে সীতাকুন্ড ইউএনও মোঃ শাহাদাত হোসেন প্রতিনিধি কে বলেন,ছড়া বাধ দিয়েছে আমাকে কেউ জানায়নি,ছড়াতে বাধ দেয়া সম্পূর্ন বেআইনী,আমি এখনই তাদের সাথে যোগাযোগ করছি ছড়াতে যেন বাধ না থাকে।
Leave a Reply