চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলাধীন বায়েজিদ বোস্তাম-ফৌজদারহাট লিং রোড সংলগ্ন জঙ্গল সলিমপুর মৌজার ৩৬১ নংবিএস দাগে ৫নং ব্রীজ সংলগ্ন পাহাড়গুলো কেটে ক্ষত- বিক্ষত করে ফেলছেন একদল ভূমিদস্যু। প্রভাবশালীদের হাতে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে এসব পাহাড় । বিশাল পাহাড় কেটে করা হচ্ছে সমতল, বানানো হচ্ছে রাস্তাঘাট ও নির্মান হচ্ছে বাড়িঘর।
পরিবেশ অধিদপ্তরও যেন এসব প্রভাবশালীর কাছে অসহায়। গোপনে পুরো পাহাড় কেটে ফেলার পর জানতে পারে পরিবেশ অধিদপ্তর। ততদিন পাহাড় আর পাহাড় থাকে না পুরোটা সমতল ভূমি হয়ে যায়। আর এ সুযোগে সেখানে তৈরি হয়ে যায় ঘরবাড়ি ।
২৩শে অক্টোবর ২০২৩ইং সোমবার সীতাকুণ্ড থানা এলাকার সলিমপুর ৫নং ব্রীজ সংলগ্ন কাটা হচ্ছে পাহাড়। ইট কিংবা টিন দিয়ে ঘেরাও করে গোপনে রাতে ও ভোরে কাটা হচ্ছে পাহাড় । প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দিন দুপুরে কাটেন পাহাড়। স্থানীয়রা দেখলে ও কারো বিরুদ্ধে মুখ খুলেন না বা প্রতিবাদ ও করেন না । পরিবেশ অধিদপ্তর লোকমুখে বা ফোনে খবর পেলেও অজ্ঞাত কারনে নিরব। কোন প্রকার বাধাহীন অবাধে চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব।
সীতাকুণ্ড থানার অন্তর্গত বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিং রোডের ৫নং ব্রীজ সংলগ্ন জঙ্গল সলিমপুরের উওরে পাহাড় কাটার সম্পর্কে জায়গার বন্দোবস্ত নেয়া মালিক দাবীদারের কাছ থেকে জানতে চাইলে সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মালেক প্রতিনিধি কে বলেন, এটা আমার পিতার নামে সরকার কর্তৃক স্থায়ী বন্দোবস্তির সম্পত্তি। বিএস দাগ নং ৩৬১, যাহা আদালতে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে জায়গাটি আমার দখলে রয়েছে। কিন্তু একটি অসাধু ভূমিদস্য চক্র পাহাড় কেটে জায়গাটি দখলের পায়তারা করে আসছে। বেশ কিছু অংশ কেটে ফেলেছে।
পাহাড় পর্বতে ঘেরা চট্টগ্রামকে বলা হয় সৌন্দর্যের রানী । বর্তমানে অবাধে পাহাড় কাটার কারনে ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে সেই চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন এলাকা । সামান্য বৃষ্টিতে একই কারণে পলি জমে নালা-নর্দমা ভরাট ও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় প্রতিনিয়ত। এভাবে অবাধে প্রভাবশালীরা পাহাড় কাটতে থাকলে,একদিন সত্যিই বিলুপ্ত হয়ে যাবে পাহাড়ের সৌন্দর্য।
পাহাড় কাটা বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর উপ- পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার প্রতিনিধি কে বলেন, পুজারার বন্ধে হয়তো কিছু খারাপ লোক এই সুযোগটা নিয়েছে তবে এ বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে, আমরা তদন্তের মধ্য দিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব
পাহাড় কাটা জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রফিকুল ইসলাম প্রতিনিধি কে বলেন, গত সপ্তাহেও পাহাড় কাটা বন্ধে অভিযান চালানো হয়েছে,সবাই পুজার ডিউটি নিয়ে ব্যস্ত থাকায় হয়তো সুযোগ নিয়েছে, খুব শিগ্রিই আবার অভিযান চলবে,গ্রেফতার হবে।
Leave a Reply