চট্রগ্রাম সীতাকুন্ড পৌর সভার ময়লা ডিপুতে উলঙ্গ ও পেগন্যাট অবস্হায় উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত শারীরিক মানুষিক ভারসাম্যহীন পাগলীর নাম সাহিদা আক্তার। চার বোন এক ভাই। ঠিকানাঃ গর্জনিয়া, জাউজপাড়া, রামু, কক্সবাজার। গত ০৮ বছর আগে পরিবার থেকে হারিয়ে গিয়েছিল সে,স্বজনরা অনেক খুজেও তার সন্ধান পায়নি।
গত কয়েক মাস আগে সীতাকুণ্ড ময়লার ডাস্টবিনে গর্ভবতী ও উলঙ্গ অবস্থায় উদ্ধার করে সীতাকুন্ড পাগল ও গবীবের বন্ধ যুব ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবু তাহের,সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মজুমদার শিপন,সহকর্মী রাফি চৌধুরী ও অন্যান্য কর্মীরা।তারা পাগলীকে উদ্ধার করে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে পোষাক পরিয়ে টিএইচও ডাক্তার নুরউদ্দিন তত্বাবধানে চিকিৎসা দেয়। এর পর ঢাকা সাদমান নামক এক ব্যক্তির পরিচালনাধীন সেইফ আশ্রয়ানে পাঠানো স্হানীয় এমপি দিদারুল আলম ও ডাক্তার নুরউদ্দিনের অর্থায়নের সহযোগীতায়।সেখানেই সে ছেলে বাচ্চা প্রসব করেছে সাদ্দামের নার্সদের সেবায়।
এর পর ফেইসবুক, পত্রিকা,অনলাইন নিউজে পাগলীর বাচ্চা হয়েছে,বাবা হয়নি কেউ,শিরোনামে ভাইরাল হয়ে যায়।এরমধ্যে নজরে পরে তার স্বজনদের।
দীর্ঘ ০৮ বছর পরে পাগলীর পরিবার স্বজনদের সন্ধান মিলেছে। এসেছিল পরিবারের সদস্যগন। নিয়ে যেতে পরিবারে। সে কোনো মতেই আর পরিবার ও স্বজনদের সাথে ফিরে যেতে আগ্রহী নয়ে।
ভারসাম্যহীন সাহেদা বেশী কথা বলতে না পারলেও বাড়ী ফিরার কথা শুনলে সে বাড়ী যাবেনা বলে জানিয়ে দেয় বলে জানায় পাগলের বন্ধু আবু তাহের।
সাহেদা ও তার সন্তান সুস্হ আছেন,সন্তানটি অনেকেই দত্তক নিতে চেয়েছিল,সাহেদা সন্তান দিতে চায়না,তাছাড়া আশ্রয়ানের তত্বাবদায়ক সাদ্দাম ও চায়না এই মূহুর্তে তার কাছ থেকে সন্তান কে দূরে সরাতে,এতে হিতে বিপরীত হতে পারে,তার মস্তৃস্কে আবারো সমস্যা দেখা দিতে পারে।তবে তার শেষ ঠিকানা কোথায় হবে এখনো নিশ্চিত বলা যাচ্ছেনা,আমরা চাই সাহেদা বেচেঁ থাকুক,সুস্হ থাকুক।
কাইয়ুম চৌধুরী,সীতাকুন্ড,
Leave a Reply