ঢাকার কেরানীগঞ্জে কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন থেকে মেয়ে ও স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে মারা গেলেন ফার্নিচার মিস্ত্রি সোহাগ মিয়া (২৮)।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কালিন্দী ইউনিয়নের গদাবাগ এলাকায় হাজী আবুল হাসনাতের মালিকানাধীন স্বাদ গ্লাস অ্যান্ড পলিমার কারখানায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, কেমিক্যালের কারখানার আগুন গোডাউন থেকে ঘরের ভেতরে ছড়িয়ে পড়লে ঘুম থেকে জেগে কোনরকমে চার বছরের মেয়ে রোজাকে কোলে নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যান সোহাগ মিয়া। তখন ঘরের ভেতর রয়ে যায় তার স্ত্রী মিনা ও দুই বছরের মেয়ে তাইয়েবা। অগ্নিদগ্ধ বড় মেয়েকে নিরাপদ আশ্রয় রেখে স্ত্রী ও ছোট মেয়েকে বাঁচাতে পুনরায় ঘরের ভেতর ঢুকে পড়ে সোহাগ। কিন্তু ঘরের ভেতর গিয়ে দেখেন ততক্ষণে স্ত্রী ও সন্তান অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছে। এরপর তিনি নিজেকে বাঁচাতে ঘর থেকে বের হতে পারলেও মারাত্মক অগ্নিগদ্ধ হন তিনি। পরে স্থানীয়রা সোহাগ ও তার বড় মেয়ে রোজাকে উদ্ধার করে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুর একটায় সোহাগের মৃত্যু হয়।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সল বিন করিম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, কেমিক্যাল গোডাউনে বিস্ফোরণে সোহাগের স্ত্রী মিনা (২২) ও তার মেয়ে তাইয়েবা(২) এবং পাশের ঘরে থাকার সোহাগের বড় ভাই সৌদি প্রবাসী মিলন মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩০) ও তার মেয়ে ইশা(১৬) ঘটনাস্থলেই মারা যায়। সোহাগের মৃত্যু নিয়ে অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় মোট পাঁচজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় সোহাগের বড় মেয়ে রোজা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য।
Leave a Reply