মহান আল্লাহতালা বলেন,” লাক্বাদ খালাকনাল ইনসা-না ফি আহসানে তাকবীম, ছুম্মা রাদাদনাহু আছফালা ছাফেলিন ” (সূরা তীন-আয়াত ৪ ও ৫) অর্থাৎ’ আমি মানুষকে অত্যন্ত সুন্দর আকৃতিতে সৃষ্টি করেছি, অতঃপর তাকে নিকৃষ্ট থেকে নিকৃষ্টতর করেছি। ‘ অত্যন্ত সুন্দর আকৃতিতে সৃষ্টি করেছি, এ কথার মাধ্যমে শুধু দেহের কথা বলা হয়নি বরং আল্লাহ মানুষকে প্রেম, জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রজ্ঞা, দর্শন ইত্যাদি অমূল্য সম্পদ দান করেছেন, যা অন্যান্য কোন সৃষ্টিকে তিনি দেননি, কিন্তু মানুষ স্রষ্টার এই সমস্ত নেয়ামতের যথোপযুক্ত ব্যবহার না করে অর্থাৎ স্রষ্টার পরিচয় লাভের ক্ষেত্রে ব্যবহার না করে, অস্থায়ী, অনিত্য, অবাস্তব ও ধ্বংসশীল বস্তু প্রাপ্তির মোহে ব্যবহার করে দয়াময় স্রষ্টার প্রতি অকৃতজ্ঞাতারই পরিচয় দেয় এবং নিজেকে বিপথগামী করে তোলে। মানুষ তাদের ভুল সিদ্ধান্ত ও কর্ম পদ্ধতির কারনেই উন্নততর অবস্থা থেকে নিকৃষ্টতর অবস্থায় পতিত হয়। মানুষের এ রকম নিম্নগতির জন্য স্রষ্টাকে দোষারোপ করা যাবে না। মানুষের কর্মফলই মূলত এ দুরবস্থার জন্য দায়ী। স্রষ্টার পরিচয় লাভের উদ্দেশ্যে পৌঁছার জন্য মানুষের যথেষ্ট সুযোগ ও সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও, রিপুর বশীভূত হয়ে নফসানিয়াতের কার্যকলাপের মাধ্যমে পুনরায় সিজ্জীনে নিমজ্জিত হয়ে নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে থাকে। এই কারনে আল কোরআনে মানুষকে অকৃতজ্ঞ বলা হয়েছে।
Leave a Reply