হবিগঞ্জ শায়েস্তানগর এলাকায় আওয়ামী লীগ- বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় মারামারি ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ২৫ আগষ্ট শুক্রবার রাতে হবিগঞ্জ সদর থানায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় আসামী করা হয়- জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, সদস্য মহিবুল ইসলাম শাহিন, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ, লাখাই উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম গোলাপ, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব জি কে গউছের ছোট ভাই জি কে গাফফার ও গোলাম মাওলা, চাচাতো ভাই গোলাম ফারুক, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সফিকুর রহমান সিতু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, সদস্য সচিব এমদাদুল হক ইমরান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল হক শরীফ, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি মহসিন সিকদার, তৌফিকুল ইসলাম রুবেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট গুলজার খান, মোঃ আরব আলী, শ্যামল আহমেদ, জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ছালেক, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমেদ চৌধুরী, বর্তমান সভাপতি শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, সিনিয়র সহ সভাপতি হাফিজুল ইসলাম হাফিজ, সাধারণ সম্পাদক জিলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাহবুব, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রকি, হবিগঞ্জ পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মুর্শেদ আলম সাজন, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মামুন, লাখাই উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান, যুবদল নেতা ইকবাল হোসেন রুকন, এমদাদুল হক ইমন, ছাত্রদল নেতা মোজাক্কির হোসেন ইমন সহ ৮৮ নেতাকর্মীর নাম উলেখ করে অজ্ঞাত ১৫০শ নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়।
বিএনপির বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৯ আগস্ট বিকেলে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। দুই ঘণ্টা চলতে থাকা এ ঘটনায় বিএনপির প্রায় ৩০০ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।
পরদিন ২০ আগস্ট বিকেলে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেন জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। প্রতিবাদ সভা শেষে মিছিলকারীরা শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় অবস্থিত জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সামনে টানানো ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়তে থাকেন। তখন বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে তাঁদের বাধা দিলে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে। পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে উভয় পক্ষের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।
আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষের এক সপ্তাহ পর শুক্রবার দিবাগত রাতে মামলা করেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান।
সদর মডেল থানার পরিদর্শক বদিউজ্জামান বলেন, বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৮৭ জনের নামে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও দেড় শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মারামারি অভিযোগে ও বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ২১ আগস্ট শহরে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করেন। তাঁদের হামলায় দলের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।
Leave a Reply