1. admin@hvoice24.com : admin :
রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দুর্নীতিবাজরা যে দলেরই হোক, আইনের আওতায় আনতে হবে: রাষ্ট্রপতি বিএনপি’র নতুন কর্মসূচি- হবিগঞ্জ ভয়েস ২৪ বেগম রোকেয়া দিবসে শ্রেষ্ঠ জয়িতা পুরস্কার পেলেন সীতাকুণ্ডের ৪ গুণী নারী নির্বাচনের আগ মূহূর্তে,সিলেট বিভাগের ২৬ থানার ওসি বদল হবিগঞ্জে সরব সৈয়দ মুশফিক,তফসিল বাতিলের দাবীতে মিছিল চুন্নুর প্রাার্থীতা বাতিল চেয়ে আপিল করলেন আওয়ামী লীগ নেতা জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল ‘বানিয়াচং মিরর’ এর ১ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন বিদায়ী নভেম্বরে সড়ক,রেল ও নৌপথ দূর্ঘটনায় ৫০৩ জন নিহত, আহত ৬৩০- যাত্রী কল্যাণ সমিতি জাতীয় দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় নিয়োগ পেলেন, বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাবের সম্পাদক ‘দৈনিক ভোরের ডাক’ পত্রিকায় নিয়োগ পেলেন শামীম চৌধুরী

হবিগঞ্জে ধানে ব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাব!

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশিত : শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৩
  • ১০৯ বার পঠিত

হবিগঞ্জে বোরো ধানে ব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাওরের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে ব্রি-২৮ জাতের ধান। কাটার মৌসুমে এসে দেখা যাচ্ছে কোনো ধানেই চাল নেই। আছে শুধু খোসা। চারাসহ ধানগুলো সাদা হয়ে গেছে। সব হারিয়ে এখন পরিবার পরিজন নিয়ে টিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছে কৃষকদের।

বিভিন্ন হাওর ঘুরে জানা যায়, ব্রি-২৮ জাতের ধান অনেকটাই সরু। চালও সরু হয়। খেতেও সুস্বাদু। ফলনও ভালো হয়। এক বিঘা জমিতে অন্তত ২০ মণ ধান ফলে। তাছাড়া অন্যান্য ধানের চেয়ে এটি আগে কাটা যায়। ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগও এটিকে তেমন ক্ষতি করতে পারে না। আবার বিক্রি করতে গেলে বাজারে এর দামও বেশি মেলে। তাই এর প্রতি কৃষকদের আগ্রহ অনেক বেশি। হবিগঞ্জ সদর, লাখাই, বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ, নবীগঞ্জ, মাধবপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা হাওরবেষ্টিত। হাওর এলাকার প্রায় সবাই কৃষির উপর নির্ভরশীল। কেউ নিজের জমিতে আবার কেউ অন্যের জমি বর্গা নিয়ে আবাদ করেন।

এ বছর জেলায় বোরো আবাদ হয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমিতে। এর মাঝে হাওরের একটি বৃহৎ অংশে কৃষকরা ব্রি-২৮ জাতের ধান আবাদ করেন। কিন্তু চলতি মৌসুমে কাটার সময় ধানে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ব্লাস্ট রোগে নষ্ট হয়ে গেছে হাওরের পর হাওর ধান। গাছসহ ধান সাদা হয়ে গেছে। ভেতরে কোনো আঁশ নেই। পুরোটাই খোসা। এগুলো এখন জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. নূরে আলম জানান, এমনিতে জেলার আবহাওয়া ভালোই ছিল। কিন্তু ১৫-২০ দিন আগে হঠাৎ করেই দিনের তাপমাত্রা বেড়ে ৩২-৩৩ ডিগ্রি পর্যন্ত হয়। আর রাতে তাপমাত্রা কমে ঠান্ডা হয়। ফলে ব্রি-২৮ জাতের ধানে ব্লাস্ট ডিজিজের প্রকোপ দেখা দেয়। উপজেলা থেকে বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক নাটিবো এবং ট্রোপার এর মধ্যে যেকোনো একটি ছত্রাকনাশক দিয়ে রোগ প্রতিরোধ করা এবং প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, হাওরে কৃষকরা ধান লাগিয়ে আসার পর তেমন একটা যত্ন নেন না। একেবারে কেটে নিয়ে আসেন। এ পর্যন্ত ব্লাস্ট রোগে জেলায় ৫০ থেকে ৬০ হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা