1. admin@hvoice24.com : admin :
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

ধর্মের বিনিময়ে যারা পয়সা খায়, তাদের অনুসরণ করা কি?

সম্পাদকীয়
  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৩
  • ৩০৯ বার পঠিত

সমাজের নেতৃত্ব ঐ ব্যক্তির জন্য যিনি অভাবহীন ও প্রকৃতপক্ষেই ধর্মভীরু এবং কর্মভীরু; ধর্ম-কর্মের বিনিময়ে যারা অর্থ গ্রহণ করতে হয় না এবং করেন না। অভাবী, লোভী, নিস্কর্মা পেশাদারী ধার্মীকদের নেতৃত্বের অধিকার নেই। সকলেরই স্মরণ রাখা দরকার যে ধর্ম-কর্ম বা ছোয়াব বিক্রয়ের বস্তু নয়, তাই কেনাও সম্ভব নয়।

ধর্মের বিনিময়ে যারা পয়সা খায়, তাদের অনুসরণ করা কোরানে পরিস্কার হারাম বা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে:

ইত্তাবিউ– মুহ্তাদুন। [৩৬: ২১] অর্থ: অনুসরণ কর তাদের, যারা তোমাদের নিকট থেকে কোন মজুরি গ্রহণ করে না এবং সত পথপ্রাপ্ত।

ক. অলা-তাসতারু-ফাত্তাক্বুন। [২: ৪১] অর্থ: আমার আয়াতের বিনিময়ে সামান্য মূল্যও তোমরা গ্রহণ করিও না। তোমরা শুধু আমাকেই ভয় কর।

খ.ফা- অইলুল্লাজীনা-ইয়াকছিরুন। [২:৭৯] অর্থ: সুতরাং দুর্ভোগ তাদের জন্য, যারা নিজ হাতে কেতাব রচনা করে এবং তুচ্ছ মূল্য প্রাপ্তির জন্য বলে, ‘ইহা আল্লাহর নিকট থেকে প্রাপ্ত।’ তাদের হাত যা রচনা করেছে তার জন্য শান্তি তাদের এবং যা তারা উপার্জন করে, তার জন্য শাস্তি তাদের।

গ. ইন্নাল্লাজীনা-বাঈদ। [২: ১৭৪,১৭৫, ১৭৬] অর্থ: আল্লাহ যে কিতাব নাজিল করেছেন, যারা তা’ গোপন রাখে ও বিনিময়ে তুচ্ছ মূল্য গ্রহণ করে, তারা নিজের পেটে আগুন ব্যতীত অন্য কিছুই ভরে না। কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাদের সাথে কথাও বলবেন না এবং পবিত্রও করবেন না। তাদের জন্য রয়েছে বিভতস শাস্তি। তারাই সত পথের বিনিময়ে ভ্রান্ত পথ এবং ক্ষমার পরিবর্তে শাস্তি ক্রয় করেছে; আগুন সহ্য করতে তারা কতইনা ধৈর্য্যশীল! ইহা এই হেতু যে, আল্লাহ্ সনাতন কিতাব অবতীর্ণ করেছেন এবং যারা কিতাব সম্বন্ধে মতভেদ সৃষ্টি করেছে নিশ্চয়ই তারা দুস্তর মতভেদে রয়েছে।

হযরত নূহের অঙ্গিকার

অইয়া কাউমী- আমানু। [১১: ২৯] অর্থ: হে আমার সম্প্রদায়! ইহার পরিবর্তে আমি তোমাদের নিকট ধন সম্পদ চাই না। আমার পারিশ্রমিক আল্লাহর নিকট।
হযরত হুদের অঙ্গিকার

ইয়া- তা’ক্বিলুন। [১১: ৫১] অর্থ: হে আমার সম্প্রদায়! আমি ইহার পরিবর্তে তোমাদের নিকট কোন মজুরি চাই না। আমার পারিশ্রমিক তারই নিকট যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। তোমরা কি তবুও বুঝতে চেষ্টা করবে না?

হযরত ছালেহ’র অঙ্গিকার

অমা-আলামীন। [২৬: শুয়ারা-১৪৫] অর্থ: আমি তোমাদের নিকট ইহার জন্য কোন পারিশ্রমিক চাই না। আমার মজুরি জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট রয়েছে।

হযরত লুতের অঙ্গিকার

অমা- আলামীন। [২৬: ১৬৪] অর্থ: ইহার জন্য আমি কোন মজুরী চাই না। আমার মজুরী জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট রয়েছে।

হযরত শোয়েবের অঙ্গিকার

অমা-আলামীন। [২৬: ১৮০] অর্থ: আমি ইহার জন্য তোমাদের নিকট কোন মূল্য চাই না। আমার মজুরি জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট রয়েছে।

হযরত মুহাম্মদের অঙ্গিকার

ক. অমা- আলামীন। [১২: ১০৪] অর্থ: এবং তুমি তাদের নিকট কোন মজুরি দাবি করিও না। ইহাতো বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ মাত্র।

খ. ক্বুল! মা আছআলুকুম – মুতাকাল্লিফিন। [৩৮: ৮৬] অর্থ: বল! আমি ইহার জন্য তোমাদের নিকট কোন পারিশ্রমিক চাই না। এবং যারা মিথ্যা দাবি করে আমি তাদের দলভূক্ত নই।

গ. উলা-ইকা ল্লাজীনা- লীল আলামীন। [৬: ৯০] অর্থ: তাদেরকেই (নবিদেরকেই) আল্লাহ সত পথে পরিচালিত করেছেন। সুতরাং তুমি তাদের পথ অনুসরণ কর; বল! ইহার জন্য আমি তোমাদের কাছে কোন মজুরি চাই না-।

ঘ. ক্বুল!-সাকুরুন। [৪২: ২৩] অর্থ: বল! আমি ইহার বিনিময় তোমাদের কাছ থেকে প্রেম-ভালোবাসা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্যবহার ব্যতীত অন্য কোন মজুরি চাই না-।

কোরানের আলোকে ধর্ম-কর্মের বিনিময় মজুরি বা হাদিয়া গ্রহণ কি সঠিক?

১. লা অলা- ইয়াসনা উনা। [৫: ৬৩] অর্থ: আলেম-আল্লামাগণ কেন তাদের পাপ কথা ও হারাম ভক্ষণে নিষেধ করে না ? বরং ইহারাও যা করে (বলে এবং খায়) ইহাও নিকৃষ্ঠ।

২. ইয়া – আলীমিন। [৯: ৩৪] অর্থ: হে ভক্তগণ (সাবধান) আলেম-দরবেশদের মধ্যে অনেকেই মানুষের ধন-সম্পত্তি অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করছে। এবং আল্লাহর পথ থেকে বিভ্রান্ত করছে। যারা স্বর্ণ-রৌপ্য জমা করে রাখে, আল্লাহর পথে ব্যয় করে না তাদের কঠোর শাস্তির সংবাদ দাও।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা