চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের ইন্টার মিলানের কাছে প্রথম লেগে ঘরের মাঠে হেরেছিল ২-০ গোলে এসি মিলান। দ্বিতীয় লেগেও হার মানলো তারা। ইউরোপিয়ান শীর্ষ প্রতিযোগিতায় মাদ্রিদ ডার্বির ফিরতি দেখায় ১-০ গোলে জিতে ফাইনালে উঠেছে ইন্টার। দুই লেগে ৩-০ গোলের অগ্রগামিতায় ১৩ বছর পর প্রতিযোগিতার শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে তারা।
প্রথম আক্রমণ ছিল মিলানের। ৫ মিনিটে সান্দ্রো তোনালির বাড়ানো বলে থিও হার্নান্দেজের ৩৫ গজ দূর থেকে নেওয়া বাঁ পায়ের শট ক্রসবারের কয়েক ইঞ্চি ওপর দিয়ে যায়।
দুই মিনিট পর হেনরিখ মিখিতারিয়ানের কাছ থেকে বল পেয়ে ইন্টারের নিকোলো বারেল্লা বক্সের বাইরে থেকে বল গোলবারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন।
আক্রমণের মতো লক্ষ্যে প্রথম শটও নেয় মিলান। ১১ মিনিটে বক্সের সেন্টার থেকে ব্রাহিম দিয়াজের ডান পায়ের শট রুখে দেন ইন্টার কিপার ওনানা।
এডিন জেকোর বাড়ানো বলে প্রথম শটে ক্রসবারের ওপর দিয়ে মারেন মিখিতারিয়ান। পরের মুহূর্তেই তার শট প্রতিপক্ষের বক্সে ব্লকড হয়। আধঘণ্টা যেতেই ক্রুনিচ প্রতিহত করেন লাউতারো মার্তিনেজের শট।
৩৭ মিনিটে গোলের খুব কাছে ছিল মিলান। গোলমুখের সামনে থেকে রাফায়েল লিয়াওয়েল বাঁ পায়ের আড়াআড়ি শট জাল খুঁজে পায়নি।
পরের মিনিটে ইন্টার গোলের পরিষ্কার সুযোগ পায়। হাকান কালহানোগলুর ক্রসে লক্ষ্যে নেওয়া মার্তিনেজের শক্তিশালী হেড রুখে দিয়ে স্কোর গোলশূন্য রাখেন রোসোনেরি কিপার মাইক মাইগনান।
দ্বিতীয়ার্ধে খুব একটা সুযোগ তৈরি করতে পারেনি দুই দলের কেউ। তবে রক্ষণ জমাট রাখার পাশাপাশি সান সিরোয় গোল করে ইন্টার। স্বাগতিক দলের হয়ে জাল কাঁপান মার্তিনেজ। ৭৪ মিনিটে রোমেলু লুকাকুর সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে লক্ষ্যভেদ করেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড, শেষ ছয় ম্যাচে এটি ছিল তার ষষ্ঠ গোল।
চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথমবার অল-মিলান নকআউটে ইন্টার বাধা পেরিয়ে গেলো। ২০০৩ সালে সেমিফাইনাল ও ২০০৫ সালের কোয়ার্টার ফাইনালে জিতেছিল মিলান।
পোর্তো ও বেনফিকাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠা ইন্টার ষষ্ঠ ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে। ২০১০ সালে হোসে মরিনহোর অধীনে নিজেদের তৃতীয় ইউরোপিয়ান কাপ জিতেছিল। আগামী ১০ জুন ইস্তানবুলে তাদের প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা ম্যানসিটি।
Leave a Reply