মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের শাহজীবাজার ফতেহপুর এলাকায় হযরত শাহ সোলেমান ফতেহগাজী বাগদাদী রহঃ মাজার সংলগ্নে গাউসিয়া নূরানী ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেন পীরজাদা সৈয়দ মোশাহিদুল ইসলাম আল-ক্বাদরী।
বুধবার ১০ মে বিকেলে পীরজাদা সৈয়দ মোশাহিদুল ইসলাম আল-ক্বাদরী সাহেবের বাড়িতে গাউসিয়া নূরানী ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শুভ উদ্ভোধন করা হয়।
এসময় উদ্বোধনী ও দোয়া অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনাব মোজাম্মেল হায়দার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনাব পীরজাদা হাফেজ মাওঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম সাহেব। জনাব পীরজাদা হযরত মাওঃ আমীর খান আল কাদ্বরী সোহেল সাহেব, জনাব পীরজাদা হযরত মাওঃ সৈয়দ রাকিবুল হাসান সাহেব, জনাব মোঃ ফিরোজ মিয়া, জনাব শাহাদাত হোসেন তালুকদার সহ প্রমূখ।
সভাপতির বক্তব্যে জনাব মোঃ মোজাম্মেল হায়দার বলেন, একটি সময় গ্রাম-বাংলায় সকাল হতো মক্তবগামী শিশুদের কোলাহল মুখর দৃশ্যে। সকালের নির্মল আবহাওয়া আরও পবিত্র হয়ে উঠত তাদের কলকাকলিতে। দূর থেকে শোনা যেত শিশুদের সম্মিলিত কলধ্বনি ‘অজুর ফরজ চারটি’। কিন্তু এখন এসব দৃশ্য কদাচিৎ চোখে পড়ে। শহর-গ্রাম থেকে হারিয়ে যাচ্ছে মুসলিম শিশুদের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় পাঠশালা মক্তব।
তিনি আরো বলেন, কালক্রমে মানুষের শিক্ষাচিন্তার পরিবর্তন ঘটেছে। মক্তবে সুপরিকল্পিত পাঠপদ্ধতি না থাকার কারণে অভিভাবকরাও মক্তবমুখী হচ্ছেন না। তারা বাসায় আলাদা শিক্ষক রেখে সন্তানকে আরবি পড়াচ্ছেন। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে মক্তব শিক্ষায়। ফলে কোথাও মক্তব উঠেই যাচ্ছে, কোথাও চলছে ঢিমেতেতালে, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।
প্রতিষ্ঠাতা পীরজাদা সৈয়দ মোশাহিদুল ইসলাম আল-ক্বাদরী সাহেবের মতো সবাই এগিয়ে এলে আশা করি আবার মক্তব শিক্ষার জাগরণ তৈরি হবে বলে ও মন্তব্য করেন উপস্থিত অতিথিরা।
গাউসিয়া নূরানী ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পীরজাদা সৈয়দ মোশাহিদুল ইসলাম আল-ক্বাদরী বলেন, সকালবেলার মক্তবগুলো আবার ফিরিয়ে আনতে অভিজ্ঞ আলেম, হাফেজ, ক্বারী সাহেব দ্বারা শিশুদের কোরআন তেলাওয়াত সহিহ সুদ্ধ ভাবে তাজবিদ সহকারে পড়ানোর জন্য এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেছেন তিনি। তিনি জানান, শাহজীবাজার এলাকায় হাফিজিয়া মাদ্রাসা থাকলে ও মুসলিম শিশুদের ধর্মীয় জ্ঞানার্জনের প্রথম পাঠশালা মক্তব নেই।
শিশু সহ বয়স্কদের ও কোরআন শিক্ষা দেওয়া জন্য আবার শিশু ও বয়স্কদের হাতে উঠুক কায়দা-কুরআন। সকালবেলা তারা ছুটুক মক্তবে। ইমানের প্রথম পাঠ গ্রহণ করুক নিরাপদ আশ্রয়ে। আজকের শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। তাদের হাতেই রচিত হবে নতুন প্রজন্মের ভাগ্য।
পর্যবেক্ষণে উঠে আসে ‘মুসলিম শিশুদের ধর্মীয় জ্ঞানার্জনের প্রথম পাঠশালা মক্তব। মক্তব হারিয়ে যাওয়া মানে মুসলিম শিশুদের ধর্মীয় জ্ঞানার্জনের প্রাথমিক ও সহজ পথ বন্ধ হয়ে যাওয়া। তাই গাউসিয়া নূরানী ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেছে মক্তব মিশন।
Leave a Reply